এবার আয় হবেই মোবাইলে অনলাইনে আয় ২০২১

মোবাইলে অনলাইনে আয় ২০২১

বর্তমান যুগ হলো ইন্টারনেটের যুগ। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্ব এখন প্রায় হাতের মুঠোয়। এ যুগে এখন কেউ বেকার থাকতে চায় না। তাই যারা আজকের এই পোষ্টটি পড়ে যে কোনো একটি পদ্বতি ধৈর্য সহকারে অবলম্বন করবেন আশা করি তারা আপনার হাতের মোবাইল ফোনটি দিয়ে, মোবাইলে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। তাছারা
অনলাইনে আয় ২০২১ এবং 
ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করার বেষ্ট পদ্বতি হবে।

মোবাইলে অনলাইনে আয়




মোবাইলে অনলাইনে আয় ২০২১।। সারা জিবন যে উপায়ে মোবাইলে আয় করতে পারবেন।।


প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ এখন আধুনিক। এই আধুনিক যুগে সবার কাছে কম বেশি মোবাইল বা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আছে। তার মধ্যে অধিকাংশ লোক মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে মোবাইলে অনলাইনে আয় করতে চায়। 

সঠিক উপায়ে অনলাইনে আয় গুলো না জানার কারণে, অনলাইনে আয় করা সম্ভব হয়ে উঠে না ।অনেকে আবার অনলাইনে আয় ব্যাপারটা গুজব মনে করে। সত্যিকার অর্থে অনলাইনে আয় করা যায়। 


আজকে আমি আলোচনা করব অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে। নিবন্ধনটি অনেক বড় হবে তাই ধৈর্য সহকারে পুরো নিবন্ধটি পড়বেন।


ব্লগিং মাধ্যমে অনলাইনে আয় 

অনলাইনে মাধ্যমে ব্লগিং করে অনেকেই আয় করছে। সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ব্লগিং করে আয় করা। অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন উপায় এর মধ্যে ব্লগিং করে আয় করতে হলে আপনার সর্বপ্রথম একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। 

আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রথমত দুটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

১/ফ্রী পদ্ধতি ২/পেইড পদ্বতি।

পেইড পদ্ধতিতে ওয়েব সাইট তৈরীঃ এই পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনার প্রয়োজন হবে ডোমেইন এবং হোস্টিং। ডোমেইনঃডোমেইন হল আপনার ওয়েব সাইটের নাম।যেমনঃwww.আপনার,ওয়েব,সাইটনাম.com হোস্টিং আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট বা ইমেজ গুলো অনলাইনে রাখতে হয় সেইগুলো রাখার স্থানটি হল হোস্টিং। ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার পর আপনার প্রয়োজন হবে একটি থিম তারপর আপনি নেটে ঘেটে বা একজন ওয়েব ডেভলপারকে দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। 

এর জন্য আপনাকে প্রায় দশ হাজার থেকে পনের হাজার টাকা লাগবে।


ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরী করে আয়,  ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরী কথাটা মাথায় আসলে সবাই ব্লগস্পট চয়েস করে থাকি। কারণ ব্লগস্পটে খুব সহজে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারি। এখানে প্রথমে ডোমেইন এবং হোস্টিং কেনার মত কোন ঝামেলা থাকে না। তাই নতুনরা এখান থেকে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন। তাই নতুনদের কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে আপনি আপনার ব্লগস্পটের সাবডোমেইন চেঞ্জ করে আপনার নিজস্ব ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন। 

ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট হতে কিভাবে আয় করা যায়

ব্লগ বা ওয়েবসাইটে অনেকগুলো উপায়ে আপনি মোবাইলে অনলাইনে আয় করতে পারবেন

ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে 

অনলাইনে আয়ঃ আপনার ব্লগে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিজিটর আসলে, ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন। এটি একটি সহজ ও জনপ্রিয় পদ্ধতি। আপনার ব্লগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমান ভিজিটর থাকতে হবে কারণ, ব্লগের প্রাণ হলো ভিজিটর। ভিজিটর ছাড়া আপনার ব্লগ অচল। তাই নতুনরা ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিজিটর ব্লগ সাইটে আনতে না পারার কারণে ব্লগ সাইট হতে আয় করতে পারবেন না।

এই সমস্যার কারনে নতুনরা ঝরে পড়ে যায়। বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবে বোঝানোর জন্য একটি বাস্তব উদাহরণ দেওয়া হলোঃ আপনি অবশ্যই প্রথম আলো নামে পত্রিকার বা ওয়েবসাইটের সম্পর্কে জানেন। আপনি যখন ওদের সাইটে ভিজিট করবেন তখন দেখবেন আপনার সামনে একটি এড বা বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয়। সেই বিজ্ঞাপনটিতে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে বা মনের অজান্তে ক্লিক করলে অন্য একটি সাইটে নিয়ে যায় এবং আপনার ক্লিক করার কারণে ওই সাইটের মালিকের ইনকাম হয়ে থাকে। 

বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এমন কিছু ওয়েবসাইট নিচে দেয়া হলঃ Adsense Clicksor Bidvertiser Info links Green red wap4dollar

আপনার যদি ভালো একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং ভাল ভিজিটর থাকে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন বসিয়ে ওয়েবসাইটের ভিজিটরের ক্লিকের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। তাও যদি বুঝতে সমস্যা হয় নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।


নিজস্ব পণ্য বিক্রি করে অনলাইনে আয় 

আপনার ভালো মানের একটি ব্লগ সাইট থাকলে, এবং আপনার সাইটে ভিজিটর সংখ্যা অনেক বেশি হলে। আপনার ব্লগ সাইটের মাধ্যমে আপনার নিজস্ব সার্ভিস বা পণ্য সেল করে আয় করতে পারবেন। আপনার ব্লগ সাইট পপুলার হলে তাহলে, আপনার তৈরি করা পণ্যের বিজ্ঞাপন ব্লগ সাইটে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে ভালো সেল পেতে পারেন। আপনার কোন পণ্য না থাকলে আপনার জন্য নিচে এই পদক্ষেপটি প্রযোজ্য নয়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয়ঃ 

অত্যন্ত একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। প্যাসিভ ইনকাম সোর্স এর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অন্যতম সোর্স। দীর্ঘমেয়াদি ইনকামের সোর্স হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। কোন কোম্পানির পণ্য বা সার্ভিস মার্কেটিং করার মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিস সেল করতে পারলে, কোম্পানি আপনাকে একটা নির্দিষ্ট কমিশন দিবে এই কমিশন হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।

উদাহরণ, ধরুন আপনার বন্ধুর একটি মোবাইলের দোকান আছে। আপনার বন্ধু আপনাকে অফার করলো আপনি আপনার বন্ধুর দোকানে মোবাইল বিক্রি করে দিতে পারলে প্রত্যেক মোবাইলে বিক্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট কমিশন দিবে। এবং সেই কমিশনটি হল এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

আপনার ব্লগে বেশি ট্রাফিক থাকলে কোন একটি কোম্পানির পণ্য ব্লগের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। 


ইউটিউব এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়

মোবাইলে অনলাইনে আয়



ইউটিউব ভিডিও শেয়ারিং সাইট। ২০০৫ সালে ২৩ এপ্রিল ইউটিউব এর যাত্রা শুরু হয়। youtube-এর নাম শোনেননি এমন লোক খুঁজে কম পাওয়া যাবে। ফেসবুক, গুগলের মতো নামকরা ইউটিউব। ইউটিউবকে কেউ ব্যবহার করে শুধু ভিডিও দেখার জন্য। কেউ বা ব্যবহার করে ক্রিয়েটিভিটি প্রদর্শন করে নিজেকে ভাইরাল করার জন্য। আবার কেউ ব্যবহার করে কিছু স্মৃতি ধরে রাখার জন্য। আবার কেউ শখের বসে ইউটিউবিং করে থাকে। আপনি জানলে অবাক হবেন আপনার শখের বসেই ইউটিউব হতে পারে আপনারা আয়ের উৎস। 
নিচে কিভাবে ইউটিউব হতে ইনকাম করা যাবে বা আয় করা যাবে তার বিবরণ দেওয়া হলো। 


ইউটিউব ইউটিউব এডসেন্স এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়

গুগোল একটি সেবা হল ইউটিউব। এডসেন্স ও গুগলের। ইউটিউব মনিটাইজেশন অন করে এডসেন্সের মাধ্যমে ইউটিউব হতে আয় করা একটি জনপ্রিয় বড় মাধ্যম। 2016 সাল পর্যন্ত খুব সহজে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করা ছিল। তখন ভিডিও আপলোড দেওয়ার পর পরে অ্যাড বা বিজ্ঞাপন দেখাতো।।এখন বর্তমানে ইউটিউব নতুন আপডেটের মাধ্যমে মনিটাইজেশন পাওয়া পাওয়া একটু কষ্ট হয়ে গেছে। তবে রিয়েল কনটেন্ট এর কাছে এটি একটি ভালো সংবাদ। বর্তমানে 10000 ভিউ 1 হাজার সাবস্ক্রাইবার 4 হাজার ঘন্টা ওয়াচ-টাইম সম্পন্ন করতে না পারলে ইউটিউব মনিটাইজেশন অন হবে না। 

তবে আপনি যদি রিয়েল কনটেন্ট আপলোড করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য বেস্ট। মনিটাইজেশন অন করে এডসেন্স এর এড বসিয়ে ইউটিউব হতে ইনকাম করা যায়। 

ইউটিউব এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় 

আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে, এখানে সাবস্ক্রাইবার বেশি থাকে ভিউআর বেশি থাকে তাহলে, আপনি ইউটিউব চ্যানেল এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে আয় এই অবস্থা এফিলিয়েট লিংক ডিসক্রিপশন এর নিচে দেওয়া থাকে এবং প্রোডাক্ট রিভিউ দেওয়া থাকে। যখন লিংকে ক্লিক করে প্রোডাক্ট কেউ কিনবে তখনই আপনার ইনকাম হবে। আর এ কাজটি মোবাইল দিয়ে  করে  মোবাইলে অনলাইনে আয় করতে পারবেন, কারণ এটি একটি ইউটিউবে ইনকামের জনপ্রিয় পদ্ধতি।

স্পন্সরশিপ এর মাধ্যমে মোবাইলে অনলাইনে আয় 

আপনার চ্যানেল ও ভিডিও জনপ্রিয় হলে, সাবস্ক্রাইবার অনেক থাকে এবং ভিডিও যদি বেশি ভিউ হয় তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি থেকে স্পন্সরশিপ নিয়ে তাদের প্রডাক্ট প্রচার প্রমোশন করে করে ইনকাম করতে পারবেন। 

নিজের পন্য সেল করে অনলাইনে আয়ঃ 

ফেসবুক মার্কেটিং এর মত আপনি ইউটিউব মার্কেটিং করে ও আপনার নিজের পণ্য সেল করে ইনকাম করতে পারবেন। 


ফেসবুক হতে মোবাইলে অনলাইনে আয়



ফেসবুক শব্দটির সাথে আমরা পরিচিত। কম বেশি সবাই ফেসবুক ইউজ করে থাকি। অনেকের তো ফেসবুকের চার-পাঁচটা একাউন্ট থাকে। বর্তমানে ফেসবুকের ইউজার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারো, কারো ফেসবুক ব্যবহার নেশা হয়ে গেছে। সকালে ঘুম থেকে ফেসবুক অন না করলে মনে হয় দিনটি পুরে মাটি হয়ে গেছে। অনেকে ফেসবুক ব্যবহার করে শখের বশে, আবার অনেকে তার মূল্যবান সময়টুকু ব্যবহার করে ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করছে। ফেসবুক ইনকাম করতে যা যা প্রয়োজ: 

১/একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।

২/পাচ হাজার ফ্রেন্ড

৩/একটি ফেসবুক পেজ

ফেসবুক পেজ থাকতে হবে আপনার ফেসবুক পেজ থাকলে সেই পেজ বা গ্রুপ থেকে ফ্রেন্ড এড করে অথবা পেজে লাইক বাড়াতে হবে এবং সেখানে আপনার নিজস্ব পণ্য থাকলে অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে এফিলিয়েট করে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url