বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়
বিদ্যুৎ বর্তমানে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের জীবন যাএার মানের সাথে সাথে দেশকে ডিজিটাল করার জন্য বিদ্যুৎ এর গুরুত্ব অপরসীম।
যেই এলাকায় বিদ্যুৎ নাই, সেই এলাকা যেন এক ধরনের ভৌতিক অবস্থায় পরিনিত হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ এর ব্যাবহারের ফলে আমরা অনেকই বিদ্যুৎ এর সুবিধা গুলো নিচ্ছি।
একটা সময় ছিল যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন গরমের সময় হাত পাখা গুরাতে গুরাতে হাত ব্যাথা হয়ে যেত।
এখন গরম কালের সময়, আর হাতে বাতাস করতে হয় না। গরম পেলে এসি, কিংবা ফ্যান ব্যাবহার করা হয়।
তাছারা বিনোদনের জন্য টেলিভিশন, অফিসের কাজের জন্য লেপটপ কিংবা কম্পিউটার, পানিকে বরফে রূপান্তরিত করার জন্য ফ্রিজ ব্যাবহার করা হয়।
এগুলো চালানোর জন্য ব্যাবহার করা হয় বিদ্যুৎ। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যাবহার করার কারনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয়।
আজকে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো মেনে চললে আপনার বিদ্যুৎ বিল পূর্বের চেয়ে অনেক কমে যাবে।
বিদ্যুৎ বিল বেশি হওয়ার কারন,
মূলত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল উঠার কারন হল, অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বা ইলেকট্রনিক্স উপকরন গুলো অতিরিক্ত হারে ব্যাবহার করলে, অতিরিক্ত হারে ইউনিট বাড়তে থাকে। যার কারনে বিদ্যুৎ বিল বেড় যায়।
তাই, আজকে সম্পূর্ন লিখাটি পড়লে, কীভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায়? কিংবা বিদ্যুৎ বিল বেশি হলে আপনার করনীয় কী? সেগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং পূর্বের তুলনায় অনেকটাই বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন।
এখন আমরা জানব, বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো নিয়ে।
বিদ্যুৎ বিল কমানোর কার্যকরী টিপস,(how to lower electric bill)
বিদ্যুৎ বিল কমানোর কার্যকরী টিপসগুলো নিয়ে এখন আলোচনা করা হবে, প্রথমে
১/বৈদ্যুতিক Equipment সার্ভিসিং,
বৈদ্যুতিক Equipment যেগুলো বিশেষ করে, এসি, ফ্রিজ, ওবেন, ওয়াশিং ম্যাশিন এই রকম বৈদ্যুতিক Equipment ব্যাবহারে নরমারলি বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে। তবে এগুলো যখন নতুন অবস্থায় ব্যাবহার করা হয় তখন ব্যাবহারের তুলনায়, নতুন অবস্থায় কারেন্ট বিল কম আসে। এই ধরনের Equipment গুলো যখন ব্যাবহার অধিক দিনের হয় যায়, তখন বিদ্যুৎ বিল একটু বেশি আসে। তাই বৈদ্যুতিক Equipment গুলো ব্যাবহার অবস্থায় পুরাতন হলে অবশ্যই বৈদ্যুতিক Equipment গুলো সার্ভিসিং করিয়ে নিবেন, তাহলে বৈদ্যুতিক Equipment গুলো সচল থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিল তুলনামূলক ভাবে কম আসবে।
২/বৈদ্যুতিক পাখা ও বৈদ্যুতিক লাইট এর যথাযথ ব্যাবহার
বৈদ্যুতিক পাখা ও বৈদ্যুতিক লাইট বলতে, বৈদ্যুতিক ফ্যান,ও লাইটকে বোঝানো হয়েছে।
আমি একটি জিনিস খোয়াল করেছি যে, অনেকেই বৈদ্যুতিক ফ্যান চালিয়ে কাপড় শুকিয়ে থাকে, আবার গরম কালে দিন রাত ২৪ ঘন্টা কাজে, অকাজে, ফ্যান ও লাইট ব্যাবহার করে থাকে। তাতে অতিরিক্ত ফ্যান ও লাইট ব্যাবহার করার কারনে অতিরিক্ত ইউনিট বাড়বে, তাই পূর্বের তুলনায় বিদ্যুৎ বিল বাড়বেই এটাই স্বাভাবিক। তাই অযথা ফ্যান ও লাইট ব্যাবহার করা ব্ন্ধ করলে, বিদ্যুত বিল অনেকাংশ কমাতে পারবেন।
৩/বৈদ্যুতিক বাল্ব পরিবর্তন
বৈদ্যুতিক বাল্ব পরিবর্তন বলতে, আমরা সাধারনত বাসা বাড়ীতে লাল লাইট ব্যাবহার করি। লাল লাইট বলতে, লাল বাল্বকে বুঝানো হয়েছে। মানে, বিদ্যুতের সাহায্যে যে বাল্বগুলো প্রচন্ড তাপে লাল রঙ্গের আলো দেয়, সেই লাল বাল্বকে বোঝানো হয়েছে। এই ধরনের বাল্ব বাসা বাড়ীতে ব্যাবহার করলে আপনাকে প্রচুর পরিমানে বিদ্যুত বিল গুনতে হবে।
এখন আপনার প্রশ্ন হল, তাহলে কি বাসা বাড়িতে আলোর জন্য বাল্ব ব্যবহার করা যাবে না? ব্যাপারটি আসলে তা নয়, বাসা বাড়িতে যদি বিদ্যুৎ বিল কমতে চান, তাহলে লাল লাইটের পরবর্তিতে led light / led বাল্ব ব্যাবহার করতে পারেন। ----বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় ----
led light এর বড় বিশেষত্ব হলো led light গুলো বিদ্যুত সাশ্রয়ী এবং প্রচুর পরিমানে আলো দিতে সক্ষম এবং সহজে নষ্ট হয় না। তাই আমরা সব সময় বাসাবাড়ীতে এলইডি লাইট গুলো ব্যবহার করব।
৪/বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এর সঠিক ব্যবহার
আমরা বিদ্যুতের সাহায্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস গুলো যেমনঃ টিভি, ফ্যান, লাইট, ওভেন, এসি ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। আমরা কি কখনও খেয়াল করেছি এগুলো অতিরিক্ত ব্যবহারে কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ বিল অতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়।+(বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় ) আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলো যখন ব্যবহার শেষ হয়ে যাবে, তখন সাথে সাথে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এর plug point খুলে রাখলে বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কম আসে।
৫/সৌর শক্তির ব্যবহার
সৌর শক্তি ব্যাবহার, মানে সৌর বিদ্যুত এর ব্যাবহার করার ফলে বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় এর আওতাভুক্ত পড়বে কিনা জানিনা। তবে আপনি যদি বিদ্যুত আপনার বাসা বাড়ীতে থাকে যদি লোড শেডিং বেশি হয় তাহলে আপনি প্রাকৃতিক শক্তি মানে সৌর বিদ্যুত ব্যাবহার করতে পারেন।
৬/এসির সঠিক ব্যবহার
৭/পানির হিটার ব্যাবহার না করা
পানির হিটার দিয়ে আমরা সাধারনত পানি গরম করে থাকি। এই হিটারে খুব অল্প সময়ে পানি গরম হয়ে যায়, তার কারন হিটার এ প্রচুর পরিমানে বিদ্যুত প্রভাহের ফলে অল্প সময়ে পানি গরম হয়ে যায় এবং তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি বিদ্যুত বিল বেশি হয়। আমি আপনাকে পার্সোনাল ভাবে সাজেস্ট করব ওয়াটার হিটার দিয়ে বিদ্যুতের সাহায্যে কখনো পানি গরম করবেন না।
শেষ কথা,
আপনি যদি উপরের ছোট ছোট নিয়মগুলো ফলো করেন দেখবেন আপনার বিদ্যুৎ বিল পূর্বের তুলনায় অনেক কমে যাবে। আজকে এই পর্যন্ত।