নতুন সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ব্লগে বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়


নতুন ব্লগ বা ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে জন্য ভিজিটর এর গুরুত্ব অপরসীম। মানব দেহের বডিতে যখন প্রান না থাকে তখন সেই বডি হয়ে যায় প্রানহীন মৃত দেহ। তেমনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যখন ভিজিটর থাকবে না বা ভিজিটর আসবে না তখন আপনার সাইটি কোনো কাজে আসবে না। এক কথায় আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর না থাকলে আপনার সাইট মূল্যহিন।


একটি উদাহারন, মনে করুন আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করছেন, আপনার শখের লিখাগুলো মানুষের কাছ প্রচার করার জন্য, বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে লিখালিখি করে কিংবা ওয়েব সাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য। আপনি প্রতিনিয়ত আপনার সাইটে কাজ করে যাচ্ছেন। যদি আপনার সাইটে ভিজিটর না আসে, আপনি যতই পরিশ্রম করেন না কেন, আপনি কিন্তুু ব্লগ বা সাইট থেকে কোনা ফয়দা পাবেন না। 

কারন, ভিজিটর না থাকলে আপনার সাইটের কনটেন্ট গুলো সবার কাছে প্রচার হবে না, যার কারনে আপনার আশা পূর্ন হবে না, তাই সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার সাইটে বেশি বেশি ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য।


সবাই কমবেশি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। কিন্তুু সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারে না। তাই অনেকের কাছে সাইটে ভিজিটর বাড়ানো বা সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার কাজটা তেমন সহজ ও না আবার কঠিন ও না। তবে সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করলে আপনিও আপনার সাইটে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।


যাদের একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট রয়েছে, এবং আপনাদের সাইটে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিজিটর নেই ভাবছেন, কিভাবে ব্লগে ভিজিটর বাড়ানো যায় বা ব্লগে ভিজিটর বাড়ানো উপায় গুলো জানতে চান, তাদের জন্য আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য পারফেক্ট।


আপনি যদি আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়াতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আশা করি, আপনার জন্য অনেক উপকার হবে, ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর ১০০% উপায় এই আজকের আর্টিকেলটি অনেক বড় হবে, আপনি চাইলে এক কাপ চা নিয়ে বসতে পারেন।


আপনি চাইলে নিচের আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন যেমন,


এখন আমি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানের জন্য কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করব।





ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর  কিছু কমন উপায়, ১০০% কার্যকরী


ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করার নীতি,


যারা ব্লগিং এ নতুন, তারা একটি জিনিস সবসময় অনেকেই করে থাকে, সময়ের অভাবে বা অলসতার অভাবে নিয়মিত সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করে না। এই ভুলটি কখনই করা যাবে না কারন, আপনার সাইটে যদি  আপনি ভিজিটর এর কথা চিন্তা করে ও নিয়মিত পোষ্ট করতে না পারেন, তখন আপনি কখনো সাইটে ভিজিটর বাড়াতে পারবেন না। বরংচ ভিজিটর আরো কমবে, কারন আপনি নতুন কিছু লিখবেন না আপনার ভিজিটররা নতুন কিছু পড়তে পারবে না। মানে আপনি একটিভ না থাকলে ভিজিটররা ও আপনার সাইটে একটিভ থাকবে না।


ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ব্লগে বা ওয়েবসাইটে আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনি হয়তবা বলতে পারেন ভাইয়া আমি আর্টিকেল লিখতে সময় পাই না আমি কিভাবে নিয়মিত আর্টিকেল লিখব?


আমি বলব আপনার সাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য রেগুলারিটি মেইনটেইন্ট করুন যেমনঃ আজকে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলেন, কালকে আরও একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলেন, তা না পারলে এক দিন পরপর একটি করে আর্টিকেল পাবলিশ করলেন, তা ও না পরলে এক সপ্তাহ পর পর একটি করে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন।


আবার এমনটা করবেন না আজকে ৪ টা আর্টিকেল পাবলিশ করলেন, ৭ দিন পর একটা আর্টিকেল পাবলিশ করলেন,  আবার ১ মাস পর আরও একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলেন। 


আবশ্যই  আর্টিকেল পাবলিশ করার জন্য আপনাকে রেগুলারিটি মেইনটেইন্ট করতে হবে তা না হলে ব্লগে ভিজিটর বাড়ানো অনেকটা অসম্ভব।


কোয়ালিটি বা মান সম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা।

 


 

কোয়ালিটি বা মান সম্পন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করা।

যেই কোনো কাজে কোয়ালিটি ভাল না থাকলে সেই কাজ গুলো অনেকটাই বৃথা হয়ে যায়। আপনি যদি আপনার সাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে যান, কিন্তু সেই আর্টিকেল গুলো যদি কোয়ালিটি না থাকে তাহলে ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করে ভালো মানের বা তথ্য সমপন্ন আর্টিকেল বা আপনার ভিজিটর তার চাহিদা অনুযায়ী বিপুল তথ্য না জানতে পারলে সাথে সাথে ভিজিটর আপনার সাইট থেকে বের হয়ে যাবে। এই যে ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করল এবং সাথে সাথে বের হয়ে আসা এটা আপনার সাইটের র‍্যাংকিং এর জন্য হুমকির কারন।

আগে জানতে হবে,
কোয়ালিটি বা মান সম্পন্ন আর্টিকেল বলতে কি বোঝায়। কোয়ালিটি বা মান সম্পন্ন আর্টিকেল বলতে, আপনার সাইটে যে পোষ্টগুলো করবেন সেই পোষ্টগুলো যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। যেমনঃ আপনি একটি আর্টিকেল লিখলেন, কি কি উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। আপনি আপনার পোষ্টটি এমনভাবে লিখবেন যেন অনলাইন থেকে আয় করার সব বিষয়বস্তুু যেন থাকে, মানে আপনার পোষ্টটি এমনভাবে লিখবেন ভিজিটর আপনার পোষ্টগুলো পড়ে সঠিক তথ্য জানতে পারে, এবং ভিজিটর আপনার পোষ্টগুলো পড়ে যেন উপকৃত হয়, সেই ভাবে পোষ্ট লিখবেন, তাহলে আপনার পোষ্টগুলো গুগোলে খুব সহজে র‍্যংক করবে। এবং অরগানিকভাবে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাবেন।

আর হে, আপনি যখন কোনো পোষ্ট লিখবেন তখন যে বিষয়টি নিয়ে পোষ্ট লিখবেন সেই বিষয়টির খুটিনাটি সব কিছু গুছিয়ে লিখবেন। যেন পরবর্তীতে সেইম বিষয়টি নিয়ে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে খুজা খোজি না করে, আপনি এমন ভাবে আর্টিকেল লিখবেন। আপনি যখন একটি কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেল লিখবেন ভিজিটর আপনার পোষ্টগুলো মনোযোগ সহকারে পড়বে এবং উপকৃত হলে ভিজিটররা আপনার সাইটির কথা মনে রাখবে এবং পরবর্তীতে আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনার সাইটের নাম সার্চ করে আপনার সাইটে প্রবেশ করে আর্টিকেল পড়বে। এতে আপনার ইউনিক ভিজিটর ও বেরে যাবে।

আর্টিকেল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা



আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার আর্টিকেল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার জন্য।
আচ্চা ভাবোন তো, আপনি কোনো না কোনো শহর বা গ্রামে বসবাস করেন। আপনাকে সবচেয়ে বেশি কে চিনবেন? অবশ্যই আপনার বাবা,মা,ভাই,বোন,আত্মীয় স্বজন এবং আপনার আশে পাশের লোকজন আপনাকে চিনবে। তাদের সাথে আপনি সবসময় কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে আলোকপাত বা শোয়ার করেন বা সময় কাটান। এটা তো অফলাইনের বাস্তব বিষয়। এখন অনলাইনের দিকে আসি, আপনি যখন নতুন সোশ্যাল মিডিয়াতে জয়েন করবেন আপনাকে কেউ চিনবে না, তাই আপনাকে সবসময় সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে একটিভ থাকতে হবে। এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে  পোষ্ট লিখলে এবং শেয়ার করলে, আস্তে আস্তে আপনি অনেকের কাছে অনলাইনে পরিচিতি পাবেন। আর আপনি যে নামে সাইট খুলবেন সেই নামে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে একটি করে পেইজ তৈরী করবেন এবং প্রচুর পরিমানে পেইজে ফ্রেন্ড এড করবেন এবং আপনার সাইটের পোষ্টগুলো আপনার পেইজে শেয়ার করবেন।  এবং পোষ্ট গুলো অবশ্যই ভিজির ফ্রেন্ডলি হয়। তাহলে ভিজিটরা উপকৃত হলে আপনার পোষ্টগুলো আপনি শেয়ারের সাথে সাথে ভিজিটররাও শেয়ার করবে, তাহলে আপনি প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাবেন।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করুন

আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করলে, কি পরিমানে ভিজিটর পাবেন সেটা কল্পনা করতে পারবেন না। 


ব্যাকলিং হল ধরুন, আপনার একটি নতুন সাইট তৈরী করলেন, আপনার সাইটের নাম কেউ জানে না বা আপনার সাইটের পোষ্টগুলো সার্চ ইন্জিনে তেমন  র‍্যাংঙ্ক নাই। আপনি যদি আপনার পোষ্টগুলোর লিংক অন্য জনপ্রিয় সাইটগুলোর পোষ্ট এর মাঝে মাঝে আপনার পোষ্টগুলোর লিংক দিয়ে দেন এবং ভিজিটর আপনার লিংকে ক্লিক করলে, সরাসরি আপনার সাইটে চলে আসবে, তাহলে আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়বে।


 অন্য সাইটের এর পোষ্ট এর মাঝে আপনার সাইটের পোষ্ট এর লিংক দেওয়া হল ব্যাকলিং।


আপনি যদি আপনার পোষ্ট এর রিলেটেড জনপ্রিয় সাইটগুলোতে ব্যাকলিং করতে পারেন, তাহলে ভিজিটর অনেক পাবেন এবং আপনার সাইটের ভেলু    

সার্চ ইন্জিনের কাছে বেড়ে যাবে এমন ও হতে পারে আপনার পোষ্টগুলো গুগোলে প্রথমে চলে আসার বড় একটা চান্স থেকে যায়।


ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করা

আপনার যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনার প্রথমে কাজ হল ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করা। ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করলে অর্গানিক ভিজিটর পাবেন।

আপনার ওয়েবসাইটি যদি সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করা থাকে, তাহলে আপনার পোষ্টগুলো সার্চ ইন্জিনে র‍্যাংঙ্ক করার চান্স থাকে, এবং ভিজিটরা সার্চ ইন্জিনে জানার জন্য আপনার পোষ্ট রিলিটেড কিওয়ার্ড সার্চ করে থাকলে এবং আপনার পোষ্ট  যদি সার্চ ইন্জিনে প্রথমে থাকে তাহলে আপনার পোষ্টটি পড়ার জন্য ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করবে এবং আপনার ভিজিটর বাড়বে। তাই আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইন্জিনে সাবমিট করবেন।



পোষ্ট ভিডিও মার্কেটিং করুন

আপনি যে নামে ওয়েবসাইট তৈরী করবেন, সেই নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তেরী করবেন। তাতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে  আপনার ওয়েবসাটের লিংক দিয়ে দিবেন, যারা আগ্রহি তারা আপনার সাইটি ভিজিট করবে, 

ধরুনঃ আপনার একটি সাইট রয়েছে সেই সাথে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ব্লগার থিম নিয়ে আলোচনা করলেন এবং সেই থিমটি নিয়ে আপনার সাইটে লিখালিখি করলেন এবং সেই থিমটির ডাউনলোড লিংক আপনার সাইটে রাখলেন, আপনি কিন্তু থিমটি ডাউনলোড করার জন্য আপনার ইউটিউব ভিডিওর ডিসক্রিপশনে আপনার সাইটের লিংক দিয়ে দিলেন এবং ভিডিওতে বলে দিলেন আপনার সাইট থেকে থিমটি ডাউনলোড করতে, এখন যারা থিমটি ডাউনলোড করতে চায় তারা ইউটিউব  থেকে আপনার সাইটে চলে যাবে এবং আপনার সাইট থেকে থিমটি ডাউনলোড করতে চেষ্টা করবে এতে আপনার ভিজিটর বাড়বে।

ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড বাছাই করুন


সাইটে পোষ্ট করার জন্য অবশ্যই সঠিক কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। এখন অনেকে বলবে কিওয়ার্ড কি? কিওয়ার্ড হল একটি নিশ।  যেমন, আজকের আর্টিকেলে কিওয়ার্ড হল, কিভাবে ব্লগে ভিজিটর বাড়াবেন এটি হল এই পোষ্টটির কিওয়ার্ড। সাইটে পোষ্ট করার জন্য অবশ্যই সঠিক কিওয়ার্ড বাছাই করে নিবেন। সঠিক কিওয়ার্ড বাছাই করার কারন হল, গুগলে এমন কিওয়ার্ড আছে যেগুলো মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন সার্চ হয় আবার, কিছু কিছু কিওয়ার্ড আছে যেগুলো বছরে ১০ বার ও সার্চ হয় না। 

তাই যেগুলো বেশি বেশি সার্চ হয় সেই কিওয়ার্ড নিয়ে ব্লগে বা সাইটে পোষ্ট করবেন। তাহলে ব্লগে বা সাইটে পূর্বের তুলনায় ভিজিটর বাড়ার চান্স থাকে।


সর্বশেষ কিছু কথা

 

আপনি যদি ব্লগে বা ওয়েভসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর ১০০% উপায় খুজে না পান বা ব্লগ বা ওয়েবসাইট ভিজিটর এর অভাবে অচল হয়ে থাকে তাহলে উপরের উপায়গুলো ফলো করলে ১০০% ভিজিটর বাড়বে। 

 যদি কোথাও বোঝতে সমস্যা হয় নিচে কমেন্ট করে জানেবেন।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Unknown
    Unknown ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ এ ৪:৩৬ AM

    ভাইয়া আপনি অসাধারন ভাবে বুঝাইছেন, ধন্যবাদ

Add Comment
comment url