কম্পিউটার ভাইরাস কি ? A to z

কম্পিউটার ভাইরাস কি ?




অনেকেই জানি, কম্পিউটার ভাইরাস জিনিসটা কি? কিন্তু যারা না জানে তারা হয়তবা ভাবছেন, জীব বা মানুষের মধ্যে ভাইরাস হয়ে থাকে তাহলে কম্পিউটার ও কি? ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়!

হে, কম্পিউটার ও ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। ভাইরাস এমন একটা জিনিস যা প্রত্যেক শ্রেনী থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স ডিভাসের জন্য ও অনেক বড় ক্ষতির। 

আবার অনেকে জানে, কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে কম্পিউটারের অনেক বড় ক্ষতি হয়। জানা সত্বেও অনেকে কম্পিউটারের যত্ন নেয় না বা প্রতিকার মূলক কোনো ধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। 

যখন কোনো function কাজ করে না বা স্লো হয়ে যায়, system error দেখালে, বেশি বেশি এড দেখালে, হঠাত করে ফাইল ডিলেট হয়ে গেলে, বা বিভিন্ন সমস্যা দেখালে তখন বুঝতে পারি কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করেছে, তখনিই আমরা কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত করার উপায় এর জন্য উঠেপরে লাগি। 

আবার অনেকে google কিংবা ইউটিউবে সার্চ করে কিভাবে কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়লে কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস কিভাবে মুক্ত করবেন A to Z জানতে পারবেন। এক কথায় কম্পিউটার ভাইরাস বলতে, কম্পিউটার আপনার কন্ট্রোলে থাকবে না।


কম্পিউটার ভাইরাস কি?
কম্পিউটার ভাইরাস কি?


অনলাইনে আয় করার জন্য নিচে ক্লিক করে আর্টিকেলগুলো পড়তে পারেন

  1. অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায়
  2. বিটকয়েন কিভাবে খরচ এবং উপার্জন করবেন
  3. সিপিএ মার্কেটিং করে প্রতিমাসে অনলাইনে, আয় করুন ১০০০ ডলার
  4. ব্লগ সাইট বানিয়ে প্রতিমাসে অনলাইনে ইনকাম করুন ১০০০ ডলার
  5. নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কি? কত টাকা ইনকাম করা যায়।
  6. ফ্রিল্যান্সিং কি ? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করব A-Z গাইডলাইন
  7. SEO কি ? SEO কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
  8. গুগল এডসেন্স কি ? গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় A TO Z


কম্পিউটার ভাইরাসের ইতিহাস

জনভন নিউম্যান হল একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী। তিনি সর্বপ্রথম ১৯৪৯ সালে, কম্পিউটার ভাইরাসের কথা বলেন। 

ভাইরাস আবিষ্কারের পূর্বে বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইরাস আবিষ্কার করার জন্য গবেষনা করা হয়। এলক ক্লোনার তার নিজের চেষ্টায় গবেষনাগারের বাহিরে কম্পিউটারের জন্য ভাইরাস তৈরী করেন। 

পরবর্তীতে ভাইরাসটি বিভিন্ন কম্পিউটারে ছরিয়ে পরে।এই ভাইরাসটির জন্য পোগ্রামিং করেন যার প্রোগ্রামিং করেন সেই সময়ের রিচার্ড স্কেন্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষার্থী। 

তেরী করা এই ভাইরাসটি সেই সময়কালে ছরাত ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে।১৯৯০-সালের শুরুতে ভাইরাস ছরাত কিন্তু তেমন ইস্টং ছিল না, পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিপদজনক ভাইরাস আক্রমন শুরু হয় ১৯৯৯ সালে এবং এই ভাইরাসটি তৈরী করেছে ডেভিড এল স্মিথ । 

সে একজন আমরিকার নাগরিক। এই ভাইরাসটি সবচেয়ে বড় বলার কারন, এই ভাইরাসটি ই-মেইল এর মাধ্যমে ছরায়।


কিভাবে কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে

কম্পিউটারে ভাইরাস বিভিন্ন কারনে প্রবেশ করে, তারমধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কারন হলঃ
  1. ইন্টারনেটের ব্যাবহার করার মাধ্যমে-আপনি জানলে অবাক হবেন আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যাবহার করেন তাহলেও আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সত্যি হলেও দুঃখ জনক ব্যাপার হল শতকরা কম্পিউটার ইউজারদের ইন্টারনেটের  মধ্যে ৭৫% লোকের কম্পিউটারে এডওয়ার, মালওয়ার, স্পাইওয়ার ভাইরাস ইন্টারনেটের মধ্যমে কম্পিউটারে চলে আসে।
  2. ইউএসবি মাধ্যমে -ভাইরাস এটাক্টঃ-আমরা অনেক সময় মোবাইল, পেন ড্রাইব,  বিভিন্ন ডিস্ক ব্যাবহার করে ফাইল কপি করে কম্পিউরারে সংরখিত করার সময় ভাইরাস প্রবেশ করে। যা আমরা বুঝতেও পারি না কখন ভাইরাস প্রবেশ করেছে।
  3. ইমেইলের মাধ্যমে- ভাইরাস প্রবেশ করা-দৈনন্দিন জীবনে আমাদের মধ্যে অনেকের অনলাইনে কাজ করতে হয় এবং অনলাইনে ফাইল প্রপারভাবে সেন্ট করার জন্য প্রয়োজন হয় ইমেইল। ইমেইল সেন্ট করার সময় ফাইল এটাচমেন্ট এর মাধ্যমে ভাইরাস ঢুকতে পারে।




কম্পিউটার ভাইরাসের নাম

আমাদের মানব দেহের ভাইরাসের মতই অনেকটা কম্পিউটার ভাইরাস। ভাইরাস যেমন আমাদের শরীর থেকে অন্য একটি শরীরে প্রবেশ করে তেমন কম্পিউটারের ভাইরাস একটি কম্পিউটার থেকে অন্য একটি কম্পিউটার বা তারচেয়ে বেশি কম্পিউটারে প্রবেশ করে। 

মানব দেহের ভাইরাসের মত কম্পিউটারের ভাইরাস আকারে ছোট হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাথে টেকনোলজি উন্নত হয়ে বিভিন্ন কম্পিউটারের আাবিষ্কার হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিকর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ভাইরাস যেমনঃ রেসিডেন্ট ভাইরাস, ফাইল বা প্রোগ্রাম ভাইরাস,  ফ্যাট ভাইরাস,ম্যাক্রো ভাইরাস, বুট ভাইরাস ইত্যাদি তৈরী হচ্ছে। তাছারা ধরন অনুযায়ী কিছু ভাইরাসের নাম হলঃ

Trojans-Trojans-

একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসটি বেশিরভাগ হ্যাকাররা ইউস করে থাকে বা হ্যাকাররা ছরিয়ে রাখে। এই ভাইরাসটি দ্বারা হ্যাকাররা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার সব গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।

Browser Hijackers-

এই শব্দটি দ্বারা বোঝতে পেরেছেন Browser Hijackers কি? হতে পারে। এটি এমন একটি ভাইরাস আপনি যখন মুভি, গান, বা ইন্টারনেট থেকে যাই ডাউনলোড দেন না কেন, ডাউনলোড হওয়ার সময় এই ভাইরাসটি plugin” বা “extension” হিসেবে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে। আপনি যখন অনলাইনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্রাউজ করবেন তখন এই ভাইরাসটির মাধ্যমে আপনার সামনে ক্ষতিকর বিজ্ঞাপন দেখায়, পপ আপ এড দেখায়, আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে চলে যায়।

Overwrite Viruses-

এই ভাইরাসটি আপনার অজান্তে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে, বিভিন্ন ফাইল আপনার পারমিশন ছারা এডিট অথবা ডিলেট করতে পারে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই ভাইরাসটি আপনার সিস্টেমকে নষ্ট করতে পারে।

 Malware- 

এই শব্দটি আমরা কম বেশি শুনে থাকি। Malware হল এক ধরনের তৈরী করা ভাইরাস।  এই ভাইরাসটি বিভিন্ন ফাইল কপি করা বা usb device ব্যাবহার করার সময় আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে থাকে।

Spyware-

আপনি যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্রাউজ করেন তখন এই ভাইরাসটি আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে থাকে।



আরও পড়ুন ,







কম্পিউটার ভাইরাসের নমুনা


কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

মোটামোটি কম বেশি কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা বিভিন্ন ডিভাইসে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। আপনি যদি সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে বোঝতে পারছেন, বিভিন্ন রকমের ভাইরাস রয়েছে এবং প্রত্যেকটি ভাইরাস কাজের ধরন অনুযায়ি বিভিন্ন কাজ করে। যদিও ভাইরাস আপনার সিস্টেমকে নষ্ট করে থাকে। 

১/ ইন্টারনেট স্লো- আপনি যদি কোন ধরনের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করেন বা না করেন সমস্যা নাই। তবে আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে যেমনঃ ইন্টারনেট ব্যবহার বা বিভিন্ন কাজের সময় যদি আপনার কম্পিউটার পূর্বের তুলনায় অধিকাংশ স্লো হলে এবং কম্পিউটারের কি সমস্যা  হয়েছে তা ধরতে না পারেন তখন বুঝতে হবে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। 

২/ যখন-তখন বিজ্ঞাপন আসা- আমরা অনেক সময় ব্রাউজ করার সময় আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু পপ-আপ বিজ্ঞাপন দেখায় এবং এ pop-up বিজ্ঞাপনটি ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। 

আবার খেয়াল করলে দেখতে পারবেন মাঝে মাঝে আমাদের সামনে বিজ্ঞাপন উল্লেখ থাকে, আপনার কম্পিউটার ভইরাস দ্বারা আক্রান্ত, কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত করার জন্য এই এন্টিভাইরাস ডাউনলোড করুন। তবে বাস্তবে এটি একটি ভাইরাস। 

৩/ কম্পিউটার পারফরম্যান্স কম- আপনার কম্পিউটারের রেম কম অথবা হার্ডডিক্স এর জায়গা কম থাকলে, যদি আপনার কম্পিউটারে জায়গায় বেশি থাকা সত্বেও কমপিউটারের পারফরমেন্স কম থাকে এর কারণ ভাইরাস হতে পারে।

৪/ হঠাৎ কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায়।

৫/ হার্ডডিস্কের পার্টিশন নষ্ট করে ফেলে।

৬/কম্পিউটার  বিনা কারণে  রিস্টার্ট নেওয়া 


আরও পড়ুন ,  (vpn কি? এবং কিভাবে কাজ করে?)


কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিকারের উপায়

কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করলে, ভাইরাস মুক্ত করার জন্য কম্পিউটারে ভাইরাস স্ক্যান করলে বুঝতে পারবেন কিভাবে ভাইরাস প্রবেশ করেছে। তারজন্য আপনাকে ভাল মানের anti-virus ব্যাবহার করতে হবে। কিছু কিছু anti-virus ফ্রিতে পাওয়া যায় যেগুলো ব্যাবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সবসময় টাকা দিয়ে কিনে ভালো মানের anti-virus ব্যাবহার করবেন।
কিছু কিছু প্রচলিত anti-virus নাম হলঃ

  1. Quick Heal.
  2. Kaspersky internet security.
  3. BitDefender.
  4. Norton.
  5. McAfee.
  6. Avast.
  7. Guardian total security.
  8. Avg antivirus.
  9. K7 antivirus.
  10. Avira


আরও পড়ুন , মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ


কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখার উপায়

আমরা অধিকাংশই প্রযুক্তি নির্ভরশীল। টেকনোলজি যতই উন্নত হচ্চে আমাদের জীবনযাএার মান ততই উন্নত বা সহজ হচ্চে।বর্তমানে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দ্বারা অফিসের কাজগুলো সম্পন্ন হচ্চে, আবার অনেকেই পার্সোনাল কম্পিউটার ইউজ করছি। আপনি কম্পিউটার দিকে তাকান তাহলে বুঝতে পারবেন আমাদের কতই না উপকার করছে। তবে সব কিছুর যেমন লাভ আছে, তেমনি লোকসান ও আছে। যেমনঃ ভাইরাস। ভাইরাসের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারকে আপনার কন্টোলে না রেখে অন্য একজনের কন্টোলে চলে যায়। তাই যত সম্ভব কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রান্ত হলে তা মুক্ত করা আমাদের জন্য জরুরী।

নীচে দেওয়া পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলে আপনি  কম্পিউটারের ভাইরাস গুলি কিছুটা হলেও এড়াতে পারবেন।

  • আপনি যদি অফিসের জন্য বা পার্সোনালভাবে কম্পিউটারে ইন্টারনেট  ব্যাবহার করেন, তাহলে সবচেয়ে ভাল হয় একটি প্রিমিয়াম anti-virus ব্যবহার করুন।
  • আপনার কম্পিউটারে নরমাল এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থাকলে, এন্টিভাইরাস কাজ নাও করতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় সিকিউরিটি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা
  • আমরা মাঝে মাঝে কম্পিউটারের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ডাউনলোড করে থাকি। অবশ্যই চেষ্টা করবেন অবিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে কোন ধরনের সফটওয়্যার ডাউনলোড না করতে। 
  • আমরা বিভিন্ন সময় কম্পিউটার থেকে মেমোরি কার্ড বা পেনড্রাইভ দিয়ে ফাইল বা বিভিন্ন মুভি কপি করে নিয়ে থাকি। সব সময় চেষ্টা করবেন ভাইরাসযুক্ত পেনড্রাইভ বা মেমোরি কম্পিউটারের যেন প্রবেশ না করে।
  • আপনার কম্পিউটারের উইন্ডোজ সবসময় আপডেট রাখতে চেষ্টা করবেন।


আপনি যদি এই নিয়মগুলো মেনে কম্পিউটার ইউজ করতে পারেন তাহলে আপনার কম্পিউটার সবসময় ১০০ থেকে ৯৫ পার্সেন্ট কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখতে পারবেন।





কি ভাবে শর্ট কার্ট ভাইরাস রিমুভ করতে হয়


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url